সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বানারীপাড়ায় সনদ জাল করে চাকরি নেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক চূড়ান্ত বরখাস্ত

বানারীপাড়ায় সনদ জাল করে চাকরি নেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক চূড়ান্ত বরখাস্ত

বানারীপাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর রবিবার তার এ বরখাস্ত অনুমোদনের জন্য বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির কাছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বরখাস্তের রেজুলেশন ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় প্রমানাদি জমা দেওয়া হয়েছে।
এমএ,বিএড ও এমএড পরীক্ষার দু’টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমানিত হওয়ায় প্রথমে ২৭ সেপ্টেম্বর স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না মর্মে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়। এক মাস ১০ দিনেও সে এর জবাব না দেওয়ায় ৬ নভেম্বর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে এ চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। এতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন। এ প্রসঙ্গে ধারালিয়া সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম খান জানান ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষকের পদে চাকুরী নেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তার এবং একাধিক সদস্যের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে তিনি প্রধান শিক্ষকের সার্টিফিকেট সঠিক কিনা তা যাচাই করতে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং দারুল ইহসানের বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহামুদা বেগম,প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের ২০০৭ সালের ফলাফল সেমিষ্টার ও ইংরেজিতে এমএ পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৪২’র সার্টিফিকেট জাল বলে লিখিতভাবে জানান। এছাড়াও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্য বিষয়ে এমএ বর্তমানে নেই পূর্বেও ছিলোনা বলেও জানানো হয় । অথচ প্রধান শিক্ষক ওই বিষয়ে এমএ’র সার্টিফিকেট দাখিল করে চাকরি নেন। অপরদিকে ঢাকার দারুল ইহসান থেকে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন পরীক্ষা দেননি তা ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম খানকে জানান। এদিকে জানা গেছে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৬ সালের পূর্বে ভর্তি হয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বৈধ বলে গণ্য হবে।
এর পরের সার্টিফিকেট অবৈধ। অথচ প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮ সালের বিএড ও ২০০৯ সালের এমএড পাসের সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন। যা ইউজিসি’র তথ্য মতে সম্পূর্ণ অবৈধ। প্রধান শিক্ষক মো জাহাঙ্গীর হোসেন এসব জাল সার্টিফিকেট তৈরী করে নিজেই ভুয়া সিল দিয়ে তা সত্যায়িত করে দাখিল করেন এবং প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি পেতে বিএড সনদ বাধ্যতামূলক হলেও সেই সনদই জাল বলে অভিযোগ ওঠে। এর পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক পদে চাকরির জন্য পূর্বের যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন মাদ্রাসার সেই অভিজ্ঞতার সনদও তিনি জাল করেন। মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করাকালীণ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কিভাবে বেসরকারী দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ক্লাস করলো ও পরীক্ষা দিলো সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে ভুয়া রেজুলেশন তৈরী করে তিনি নিজেকে নিয়মিত শিক্ষার্থী দেখান। এসব অভিযোগের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম খান ঝালকাঠির শাহ মাহমুদিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম তালুকদারকে আহবায়ক,চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজিম সরদার ও বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মতিয়ার রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই সত্য।
অপরদিকে এমএ ও এমএড পরীক্ষার সনদের ওপর ভিত্তি করে তাকে বিভিন্ন সময় কৈফিয়ত তলব ও হয়রানী করার অভিযোগ এনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশালের উপ-পরিচালক,বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিদর্শক,বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, রূপালী ব্যাংকের বানারীপাড়ার শাখা ব্যবস্থাপক, বিদ্যালয়ের সভাপতি,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,তদন্ত কমিটির তিন সদস্য ও কমিটির সকল সদস্যসহ ২১ জনকে বিবাদী করে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বরিশাল সহকারী জজ আদালতে ২১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন। তবে মামলা দায়েরের পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সভাপতির মেইলে দুটি সনদ ভুয়া সত্যতা স্বীকার করে এগুলো তার অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রদর্শণগত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি পাঠান। যা গোপন রাখতে তিনি সভাপতিকে বিনীত অনুরোধও জানান। জানা গেছে ওই মামলা খারিজের জন্য ২০ অক্টোবর বিবাদীরা আবেদন করলে নিজের দায়ের করা মামলায় নিজেই সময়ের প্রার্থনা করেছেন বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির হোসেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com